জাতির উদ্দেশে ভাষণ : শেখ হাসিনা (হার্ডকভার)

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থাপতি, বাঙালি জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযােগ্য উত্তরসূরি, গণতান্ত্রিকভাবে চারবার নির্বাচিত বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী তিনি। তাঁর বর্ণিল রাজনৈতিক কর্মজীবন প্রায় চার দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী বিস্তৃত। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিক্রমার ভিত স্থাপন করেছিলেন নতুন করে। এরপর ২০০৯ সাল থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে এখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন যেন একই সূত্রে গাঁথা জাতির উদ্দেশে দেওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি ভাষণ তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা-দর্শন, দেশ ও জাতিকে নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা ও বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তােলার দৃঢ় প্রত্যয়ের জীবিত দন্তাবেজ। যে-কোনাে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ একটি রাজনৈতিক দল তথা রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতিলিপি। এটা নিশ্চিতভাবে দাবি করা যায় যে একজন মহান নেতার একটি বক্তৃতার মাধ্যমেই জাতির ভাগ্য বদলে যেতে পারে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই এর উপযুক্ত প্রমাণ। সুতরাং, জাতির উদ্দেশে দেওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ, শুধু জাতির জন্য নয়, দেশের অনাগত প্রজন্মর জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা বহন করে। এই বইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩২টি ভাষণ হুবহু তুলে ধরা হয়েছে, পাশাপাশি বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেগুলাের পরিপ্রেক্ষিত। এগুলাে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বিগত চার দশকের বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের একটি সুস্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়। বইটি এমন একটি দলিল, যার মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে কীভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বহু বছরের সামরিক ও স্বৈরাচারী দুঃশাসনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া প্রতিটি ক্ষত্রকে পুননির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সােনার বাংলায় রূপান্তর করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বিশ্লেষণঞ্ুলাে পড়লে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশের যাত্রার গল্প, স্বপ্ন ও দর্শন জানা যাবে এবং এর তাৎপর্য উপলব্ধি করা যাবে।